দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম ‘তাপসের প্রকৌশলী চক্রের ২০০ কোটি’।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কয়েকজন প্রকৌশলীকে নিয়ে চক্র গড়ে তুলেছিলেন সংস্থাটির সদ্য সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এ চক্রের মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদটিতে বলা হচ্ছে, প্রকৌশলী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে নিয়োগে জালিয়াতি থেকে শুরু করে প্রকল্পের টাকা লুটপাট, ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি, দরপত্র জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তাপস।
বরং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অভিযুক্তদের নানাভাবে অনিয়ম করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন।
এ প্রক্রিয়ায় করপোরেশনের কয়েকশ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের লোভনীয় নানা প্রকল্পসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়।
ভ্যানে মৃতদেহ স্তূপ করার ভাইরাল ভিডিও, পরিচয় সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে?
'বাহিনীগুলোর পাশ কাটানোর সুযোগ নেই'
‘আয়নাঘরের’ বর্ণনা দিলেন পাঁচ বছর পর ফিরে আসা মাইকেল চাকমা
‘শতকোটির বাগানবাড়ি ঘুষ নেন জিয়া’ কালের কন্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আয়না ঘরের কারিগর চাকরি হারানো বিতর্কিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ক্ষমতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অর্থবিত্তের পাহাড় গড়েছেন।
সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া সেই মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বাগানবাড়ির তথ্য বের হয়ে এসেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া ইউনিয়নে প্রায় ১০ বিঘা জমির ওপর তিনি নির্মাণ করছেন দৃষ্টিনন্দন বাগানবাড়ি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গুম-খুনের নেপথ্যের নায়ক এই জিয়াউল আহসান। আলোচিত আয়নাঘরেরও মূল কারিগর তিনি।
এ ছাড়া ফোনকলে আড়ি পাতা, মানুষের ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড করতেন জিয়াউল আহসান। শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনায় যৌথ অভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।
সংবাদটিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে বাগানবাড়ির জমি একাধিক দলিলে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে কিনে জিয়াউল আহসানকে উপঢৌকন হিসেবে দেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।
‘প্রধান উপদেষ্টাকে নানা প্রশ্ন ও পরামর্শ শিক্ষার্থীদের’ সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম।
রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে মতবিনিময় করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে মাঠে থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের সঙ্গে এটি ছিল অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম আলাপ।
শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চাইলেন। উপদেষ্টারা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাঙ্গনে সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন আয়োজন, গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার, গণপিটুনিতে লোকজনকে হত্যা ও মারধরের মতো ঘটনা থামানো, ভারতের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতি কী হবে তা স্পষ্ট করা, ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এরকম অনেক বিষয়ে চলে প্রশ্নোত্তর।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী এ সভায় যোগ দেন।
‘গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত’ মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের নবগঠিত কমিশন।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করেছে সরকার। সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত পরিচালনা করবে এ কার্যক্রম।
রোববার সকাল এগারটায় কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিশনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে গণবিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে’।
রোববার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দরকার। কিন্তু সেই সম্পর্ক হবে ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে।’
তিনি প্রতিবেশীর সঙ্গে পারস্পরিক সমান সম্মান এবং ন্যায্যাতার ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
‘BB to rescue problem banks’ দ্যা ডেইলি স্টার পত্রিকার একটি শিরোনাম।
এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রিত কিছু শরিয়াহ ব্যাংকসহ সমস্যায় পর্যবসিত ব্যাংকগুলোকে উদ্ধার করতে তারল্য ব্যবস্থাপনা বা এমন কয়েকটি বিষয় সমন্বিতকরন করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ ব্যাংক।
উদাহরণ স্বরূপ এক্সিম ব্যাঙ্ককে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক থেকে ৯০ দিনের জন্য এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তারল্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, সংকটাপন্ন কয়েকটি ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হওয়ার পর্যায়ের থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের এখনই এ ব্যাঙ্কগুলোকে দেউলিয়া ঘোষণা করার কোন পরিকল্পনা নেই।
ভারতে ‘সেভেন সিস্টার্স’ বা সাত বোনের সংসারে বাংলাদেশের ভূমিকা কী?
সংবিধান সংশোধন বা পুনর্লিখন করে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে স্বৈরতন্ত্র ঠেকানো সম্ভব?
কীভাবে একজন স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়
‘Labour unrest leads to Tk5,000cr loss in industries, MCCI claims’ দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার শিরোনাম।
শ্রমিক অসন্তোষের কারণে শিল্পে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) দাবি করেছে।
এমসিসিআই’র মহাসচিব ফারুক আহমেদ বলেন, আগস্টে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে।
“একশটিরও বেশি কারখানা ভাংচুর করা হয়েছে বা আগুন দেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রায় দুইশটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, যদিও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে” বলেন মি. আহমেদ।
‘চাল-ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট!’ বণিক বার্তা পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার প্রথম মাসেই কমিয়ে আনা হয়েছে মূল্যস্ফীতি।
পটপরিবর্তনের মাস আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হ্রাসের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি, আগের মাসের চেয়ে যা প্রায় ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে নেমেছে।
জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ২৫ দিনেরও কম সময়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার এমন তথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
যদিও এ সময়ে বাজারে চাল ও ডিমসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। তাই এবারো বিবিএসের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যবৃদ্ধির হার কমলেও পণ্যের দাম কমেনি। মূল্যস্ফীতি এখনো দুই অংকের ঘরে রয়েছে। এটাকে ঋণাত্মক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বাজারে চাঁদাবাজি ও কারসাজি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সেই সঙ্গে নিত্যপণ্যের দাম না কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখানো বিবিএসের পদ্ধতিগত সমস্যা।
শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে এত নারী রাস্তায় নেমেছিল কেন?
ফ্যাসিবাদ কী? ফ্যাসিস্টদের বৈশিষ্ট্য কেমন ছিল?
হাসিনার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে যেসব কারণ
‘লাখ কোটি টাকা ঋণ, ব্যাংকে জমা ২৬ হাজার কোটি’ প্রথম আলো পত্রিকার শিরোনাম।
বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম, তার পরিবারের সদস্য এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে কেবল ছয়টি ব্যাংকেই বিপুল অংকের নগদ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা। এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ভাই আব্দুল্লাহ হাসানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এই টাকা ব্যাঙ্কগুলোতে জমা আছে।
এসব ব্যাংকের পাঁচটিই এস আলম গ্রুপের সরাসরি মালিকানায় অথবা নিয়ন্ত্রণে ছিল।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অঞ্চল -১৫ এর এক অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে এস আলম গ্রুপের এ বিপুল অর্থের সন্ধান মিলেছে বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
ব্যাংকে জমা পুরো অর্থ কর বিভাগের আওতায় আনার উদ্যোগও নিয়েছে ওই অঞ্চলের কর্মকর্তারা।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরপরই এস আলম পরিবারের সদস্য ও তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল। সাধারণত ফাঁকি দেয়া কর আদায় করার লক্ষ্যে হিসাব তলব করে থাকে কর বিভাগ।